সুপারজুম ক্যামেরা হিসেবে গতবছর ক্যানন বাজারে এনেছিল SX10 এবং SX1. এখন বলা হচ্ছে নতুন এসএক্স-২০ হচ্ছে এসএক্স-১০ এর বদলী। যদিও তাদের ওয়েবসাইটে এখনও আগের এসএক্স-১০ রয়ে গেছে। আগের মডেলের সাথে তুলনা করলে এতে ১০ মেগাপিক্সেলের যায়গায় ১২ মেগাপিক্সেলে উন্নিত করা হয়েছে এবং ভিজিএ ভিডিও যায়গায় হাই-ডেফিনিসন ভিডিও যোগ করা হয়েছে। এছাড়া বাকি যাকিছু তার পরিবর্তন না করে উন্নতি করা হয়েছে।
এক নজরে এসএক্স-২০ পরিচিতি;
সেন্সর ১২.১ মেগাপিক্সেল, অপটিক্যাল জুম ২০ এক্স (২৮-৫৬০ মিমি), ২.৫ ইঞ্চি আর্টিকুলেটিং ডিসপ্লে, অটো এবং ম্যানুয়েল শ্যুটিং মোড, এসডি/এসডি এইচসি, মাল্টিমিডিয়া কার্ড, এমএমসি এবং এইচসি এমএমসি কার্ড সাপোর্ট, নেক ষ্ট্রাপ, লেন্স ক্যাপ, ইউএসবি এবং এভি কেবল ইত্যাদি পাওয়া যাবে ক্যামেরা কিনলে। ক্যামেরায় ৪টি এএ ব্যাটারী ব্যবহার করতে হয়।
এসএক্স-২০ দেখতে অবিকল এসএক্স-১০ এর মত। কিছুটা ছোট আকারের এসএলআর ক্যামেরার মত। ওয়াইড এবং টেলি দুদিকেই ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগি। বাটনগুলি সহজভাবে ব্যবহারের উপযোগি। মেনু ব্যবহার সহজ, প্রতিটি বিষয়ের জন্য টিপস রয়েছে।
ক্যামেরায় ১৩টি প্রিসেট মোড রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সিন মোড ছাড়াও রয়েছে এপারচার প্রায়োরিটি এবং সাটার প্রায়োরিটি। আর পুল ম্যানুয়েল তো রয়েছেই।
এই ধরনের অন্যান্য ক্যামেরার সাথে তুলনায় এর ডিসপ্লে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কাজ না করা অবস্থায় একে উল্টে রাখা যায় এবং ব্যবহারের সময় যেকোন দিকে ঘুরিয়ে সহজে ছবি উঠানো যায়।
এর এপারচার এফ/২.৮ (ওয়াইড) থেকে এফ/৫.৭ (টেলি)। ওয়াইড এঙ্গেলে কিছু ব্যারেল ডিসটর্শন পাওয়া যায়, এবং টেলিফটোতে কিছু পিনকুশন ডিসটর্শনও পাওয়া যায়। তবে এই মাপের লেন্সে এটা স্বাভাবিক বলেই ধরে নেয়া হয়।
এতে সুপার ম্যাক্রো মোডে ০ থেকে ৩.৯ ইঞ্চি দুরত্বে ফোকাস করা যায়। ম্যাক্রো মোডে এই দুরত্ব ৩.৯ ইঞ্চি থেকে ১.৬ ফুট। টেলিফটোতে সবচেয়ে কাছে ৩.৩ ফুট পর্যন্ত ফোকাস করা যায়। ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন অত্যন্ত কার্যকর।
ভিডিওর মান ভাল। সবচেয়ে ভাল মানের ভিডিও করার সময় একটানা ২৯ মিনিট রেকর্ড করা যায়। যে কোন মুহুর্তে ভিডিওর জন্য রেকর্ড বাটনে চাপ দিয়েই ভিডিও করা যায়।
এতে ডিজিক ৪ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যান্য সুপারজুম ক্যামেরার মত এর দামও ৪০০ ডলারের মধ্যে।
সুপারজুম ক্যামেরা কেনার জন্য অন্য যে মডেলগুলি খোজ নিতে পারেন;
No comments:
Post a Comment