বর্ষার মধ্যে ক্যামেরা নিয়ে বাইরে বের হলে সবসময় ভয় কাজ করে, কখন পানি লেগে ক্যামেরা নষ্ট হয়। অথচ বর্ষার বিশেষ যে রূপ সেটা ধরে রাখাও জরুরী। সমাধান- এমন ক্যামেরা যা পানিতে নষ্ট হবে না। এধরনের সবচেয়ে প্রচলিত কয়েকটি ক্যামেরার তুলনা করে দেখানো হয়েছে এখানে। এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য যা বাদ পরেছে তা হচ্ছে Panasonic Lumix TS1 এবং Pentax Optio W80. এই দুটি ক্যামেরা একেবারে সাম্প্রতিক। এতে স্থান পেয়েছে ৫টি ক্যামেরা, Canon Powershot D10, Fujifilm Finepix Z33WP, Olympus Stylus Tough 8000, Olympus Stylus Tough 6000 এবং Pentax Option W60.
ক্যাননের ডি১০ তাদের প্রথম সত্যিকারের ওয়াটারপ্রুফ ক্যামেরা। এর আগে তারা অন্য ক্যামেরাগুলিকে ওয়াটারপ্রুফ করার জন্য বিশেষ আবরন ব্যবহার করত। এই ক্যামেরাকে ওয়াটারপ্রুফ করার জন্য এবং আছড়ে পড়লেও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রায় গোলাকার আকৃতি দেয়া হয়েছে। ১২ মেগাপিক্সেল সেন্সরের ৩৫-১০৫ মিমি এই ক্যামেরা সব বিচারেই অন্যদের থেকে এগিয়ে। এর ছবির মান যথেষ্ট ভাল তবে আকারে যতটা ছোট হওয়ার কথা ছিল ঠিক ততটা সুবিধাজনক নয়। বিশেষ করে গোলাকার হওয়ার কারনে বহন করা অসুবিধেজনক মনে হতে পারে। ৩৫ মিমি থেকে শুরু হওয়াও অনেকের কাছে অসুবিধেজনক।
ফুজিফিল্মের জেড৩৩ ক্যামেরা অত্যন্ত পাতলা এবং এই ধরনের ক্যামেরাগুলির মধ্যে অত্যন্ত সবচেয়ে ছোট। এর দামও তুলনামুলক কম। ডিজাইনের কারনে এটা হাতে ধরে ছবি উঠানো সহজ। ছবির মানের দিক থেকে ক্যাননের থেকে কিছুটা পিছিয়ে। কম আইএসওতেও কিছু নয়েজ ধরা পরে।
অলিম্পাস ৩ বছরের অধিক সময় ধরে ওয়াটারপ্রুফ ক্যামেরা বিক্রি করছে। এই ক্যামেরার রেজ্যুলুশন অন্যদের তুলনায় কম মনে হতে পারে (১২ এর বদলে ১০ মেগাপিক্সেল)। ফোকাস করার জন্যও এটা বেশি সময় নেয়। একবার ক্লিক করার পর সেটা সেভ করে আবারও ছবি ওঠানোর জন্য তৈরী হতেও যথেষ্ট সময় নেয়। তবে ছবির মান ভাল। এর ডিজাইন অন্যদের থেকে বেশি গ্রহনযোগ্য এবং ব্যবহার অত্যন্ত সহজ। ৬০০০ মডেল ৮০০০ মডেলের প্রায় অনুরুপ।
No comments:
Post a Comment