বহুদুর থেকে গাছে বসে থাকা পাখি কিংবা ফুলের ওপর বসা প্রজাপতির ছবি উঠানো যায় এমন ক্যামেরার দিকে মানুষের আগ্রহ বেশি। তবে সমস্যা হচ্ছে ক্যামেরার জুম ক্যাপাসিটি যত বাড়ে লেন্সের দৈর্ঘ্য তত বাড়তে থাকে। ফলে সেটা আর পকেটে বয়ে বেড়ানো যায় না। যে মুহুর্তে আপনার মনে হচ্ছে এখন একটা ছবি উঠানো প্রয়োজন ঠিক তখন আপনার কাছে ক্যামেরা নেই। সবসময় কাছে রাখা সম্ভব আবার বহু দুরের ছবি উঠানো যাবে এমন ক্যামেরা খুব বেশি নেই। এখানে এধরনের প্রধান তিনটি ক্যামেরার পরিচিতি তুলে ধরা হচ্ছে। Canon Powershot SX110 IS, Panasonic Lumix DMC ZS3 এবং Nikon L-100. এগুলি সার্টের পকেটে হয়ত বয়ে বেড়ানো সম্ভব হবে না তবে প্যান্টের বা কোটের বড় পকেটে অনায়াসে রাখা সম্ভব।
তুলনা থেকে প্রথমেই যা চোখে পড়ে তা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি জুম নিকনের। যদি দুরে ছবি উঠানো প্রধান লক্ষ হয় তাহলে এটা প্রথম পছন্দ হতে পারে, আবার সাথেসাথে লক্ষ্যনীয় এটার আকার (পুরুত্ব) সবচেয়ে বেশি। অন্যদুটি যখন দুই ইঞ্চির নিচে সেখানে এর পুরুত্ব ৩ ইঞ্চির অধিক। ফলে বহন করার বিষয়টি সমস্যা হয়ে দাড়াতে পারে। জুম হিসেবে প্যানাসনিক সবচেয়ে পিছিয়ে থাকলেও আকারে ছোটর দিকে সবচেয়ে এগিয়ে। এক ইঞ্চির সামান্য বেশি। ওজনের ক্ষেত্রেও তাই।
মেগাপিক্সেল হিসেবে নিকন এগিয়ে, ক্যানন পিছিয়ে।
ওয়াইড এঙ্গেলের ক্ষেত্রে প্যানাসনিক সবচেয়ে এগিয়ে। ক্যাননের ৩৬ মিমি কে ঠিক ওয়াইড এঙ্গেল বলা যায় না। ছোট ঘরে কয়েকজনের গ্রুপ ছবি উঠানো সম্ভব হবে না। কখনো কখনো বিষয়কে ফ্রেমের মধ্যে আনতে নিজেকেই বেশ পিছনে যেতে হবে। নিকনের ২৮ চলনসই, প্যানাসনিকের ২৫ বেশ ভাল।
ক্যানন ২টি এবং নিকন ৪টি এএ ব্যাটারী ব্যবহার করে, অন্যদিকে প্যানাসনিক ব্যবহার করে এসএলআরের মত নিজস্ব লিথিয়াম ব্যাটারী। একেকজনের একেক ধরনের ব্যাটারী পছন্দ, তবে এএ ব্যাটারীর অসুবিধে হচ্ছে এতে লিথিয়াম ব্যাটারীর মত দীর্ঘস্থায়িত্বের সুবিধে পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে সুবিধে হচ্ছে যেকোন যায়গায় প্রয়োজনে কিনতে পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment