ওয়াইম্যাক্স অয়্যারলেস নেটওয়ার্ক পদ্ধতি। একে IEEE 801.16 ও বলা হয়। মুলত শহর এলাকায় নেটওয়ার্ক সার্ভিস দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ষ্টেশন থেকে ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) পর্যন্ত এলাকায় ব্রডভ্যান্ড অয়্যারলেস এক্সেস (BWA) সম্ভব । একে ওয়াই-ফাই এর সাথে এক করে ফেলবেন না। ওয়াই-ফাই এর নাম wi-fi/IEEE 801.11 এবং এর দুরত্ব ১০০ থেকে ৩০০ ফুট। যদিও কাজের পদ্ধতিতে (প্রোটোকল) মিল রয়েছে।
তাত্ত্বিকভাবে ওয়াইম্যাক্সে ডাটা ট্রান্সফার রেট ৭৫ মেবিট/সে। নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ৪৫ মেবিট/সে পাওয়ার উদাহরন রয়েছে। তবে বাস্তবে ব্যবহারের সময় এই গতি পাওয়া যায় না। এর অনেকটা নির্ভর করে কোন ধরনের ক্যারিয়ার ব্যবহার করে সার্ভিস দেয়া হবে তার ওপর। ট্রান্সমিশন, ট্রান্সমিটার থেকে দুরত্ব, ব্যান্ডউইডথ, স্পেকট্রাম চ্যানেল এর ধরন ও ধারনক্ষমতা ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। স্প্রিন্ট জানিয়েছে তারা ব্যবহারকারীকে ২ থেকে ৪ মেগাবিট/সে মোবাইল ওয়াইম্যাক্স সার্ভিস দিতে সক্ষম। এই গতি প্রচলিত থ্রিজি থেকে বেশি। ১.৫ মেবি/সে গতিতে সাধারন আইপিটিভি এবং ২.৫ মেবি/সে গতিতে হাই ডেফিনিসন টিভি সম্প্রচার সম্ভব।
ওয়াইম্যাক্স ব্যবহারের প্রশ্নে একটি প্রধান প্রশ্ন সামনে এসে দাড়ায়, এজন্য কি প্রয়োজন হবে ?
অবশ্যই এজন্য মডেম প্রয়োজন হবে। ওয়াইফাই যেভাবে ল্যাপটপে কিংবা মোবাইল ফোনে দিয়ে দেয়া হয় সেভাবে এখনও ওয়াইম্যাক্সের প্রচলন হয়নি। স্যামসাং সহ দু-একটি কোম্পানী তাদের মোবাইলে ওয়াইম্যাক্স ব্যবহারের সুবিধা দেয়। তবে ভবিষ্যতে আরো অন্যান্য মোবাইল ফোন থেকেও ওয়াইম্যাক্স ব্যবহার করা যাবে এটা নিশ্চিত। আপাতত অন্তত ইউএসবি মডেম কিনতে হবে। স্যামসাং এর ইউএসবি ওয়াইম্যাক্স মডেম পাওয়া যায়। কোন কোন ল্যাপটপে এরই মধ্যে ওয়াইম্যাক্স যোগ করা হয়েছে। এমনকি গাড়িতেও যদি ওয়াইম্যাক্স দেখেন তাতেও অবাক হবেন না কারন এধরনের গাড়ি প্রদর্শন করা হয়েছে কনজুমার ইলেকট্রনিক শো-তে।
প্রযুক্তি হিসেবে ওয়াইম্যাক্সের বড় প্রতিদ্বন্দী এলটিই (Long Term Evolution, LTE), আরেক নাম 4G. ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তি অনেকদুর এগিয়ে গেছে, বৃটেনে পরীক্ষামুলকভাবে চালু হয়েছে। জাপান দ্রুত কার্যকর করার পথে এগোচ্ছে। সুইডেন সহ অনেক দেশে আগামী দুবছরের মধ্যে চালু হবে। এছাড়া কেবল ব্যবহার করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট তো রয়েছেই।
Thank you.
ReplyDelete