একটা ঘরের চারিদিক বন্ধ করে একপাশে ছোট একটা ফুটো করলে সেই ফুটো লেন্সেম মত বাইরের দৃশ্যের একটি প্রতিবিম্ব তৈরী করে। মধ্যযুগে অনেক শিল্পী ছবি আকার কাজে ব্যবহার করতেন এই পদ্ধতি। ছোট একটা ঘর বানিয়ে নিতেন। যেদিকের ছবি আকবেন সেদিকে ছোট একটা ফুটো থাকত। সেই ফুটো দিয়ে আলো এসে বিপরীত দিকের দেয়ালের উল্টো ছবি দেখা যেত। সেখানে ক্যানভাস রেখে তিনি আকতেন। ক্যামেরা শব্দটির উতপত্তিও আরবী কামরা থেকে। আর বাংলাভাষীদের কামরা শব্দের অর্থ বলে দেয়া প্রয়োজন নেই।
প্রথম যুগের ক্যামেরায় এধরনের ছোট্ট ফুটো ব্যবহার করা হত। নাম ছিল পিনহোল। লেন্স আবিস্কারের পর পিনহোল প্রযুক্তি বাতিল হয়ে গেছে।
না, এখনো বাতিল হয়নি। এই ডিজিটাল যুগেও সত্যিকারের পিনহোল ফটোগ্রাফির ব্যবস্থা করেছে ওয়ান্ডারলাষ্ট। তাদের পিনওয়াইড কাজ করবে ওয়াইড এঙ্গেল লেন্সের মত। ১১ মিলিমিটার ফোকাল লেন্থের এই লেন্স (লেন্স বলা হয়ত ভুল) বিশেসভাবে মাইক্রো ফোর থার্ড ক্যামেরা বডির জন্য তৈরী। এপারচার এফ/৯৬ থেকে এফ/১২৮।
শুরুতে প্রিঅর্ডারের ভিত্তিতে সরবরাহ করা হয়েছে ৬০০টি। এখন সকলের জন্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। দাম ৩৯.৯৯ ডলার।
No comments:
Post a Comment