গত ১ দশক ধরে সেল ফোনের ব্যবহার যেমন বেড়েছে তারসাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সেল টাওয়ারের সংখ্যা। অয়্যালেস প্রযুক্তি এখন ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। এমন কিছু এন্টেনা তৈরী করা হয়েছে যা আকারে ছোট, কোন কোনটি হাতের মুঠোয় ধরা যায়। এগুলি ল্যাম্পপোটের সাথে, এমনকি বাড়ির কোন অংশে। মুলত ইলেকট্রিসিটি এবং নেটওয়ার্ক কানেকশন আছে এমন যে কোন যায়গায়। বর্তমানের সেল টাওয়ারের প্রয়োজন মেটাবে এগুলি।
বার্সেলোনার বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল মেলায় এধরনের প্রযুক্তি এনেছে অনেক বড় বড় কোম্পানী। এলকাটেল-লুসেন্ট একটি সেলুলার এন্টেনা দেখাচ্ছে যার আকার রুবিক কিউবের মত। এটি তৈরী হয়েছে বেল ল্যাবরেটরীতে। একে ব্যবহার করা যাবে বর্তমানের সেল টাওয়ারের বিকল্প হিসেবে।
ক্যালকমের টেকনিক্যাল মার্কেটিং এর পরিচালক রাসমুস হেলবার্গ বলছেন ছোট আকারের সেল বর্তমান নেটওয়ার্কে ক্ষমতাকে ১০ গুন বৃদ্ধি করতে পারে।
নিউ ইয়র্ক সিটিতে এটিএন্ডটি ওয়াই-ফাই হটস্পট বসানোর কাজ করছে। শুরু করেছে টাইমস স্কয়ার থেকে। সেখান থেকে দুরে সরার সাথেসাথে আইফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। বলা হচ্ছে এটা ব্যবহারকারীদের সেলুলার নেটওয়ার্ক থেকে অন্যদিকে সরানোর কার্যকর পদ্ধতি। মেলায় ক্যালকম দেখাচ্ছে কিভাবে বড় এবং ছোট নেটওয়ার্ক একসাথে করা যায়, ভিন্ন ধরনের সেল ব্যবহারের সময় সমস্যা কমানো যায়।
বৃটিশ কোম্পানী ইউবিআইকুইসিস দেখাচ্ছে এযাবত তৈরী সবচেয়ে ছোট সেল। আকারে একটা আঙুলের সমান। কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্টে লাগিয়ে ব্যবহার করতে হয়। ব্যবহারকারী এটা ল্যাপটপ কম্পিউটারের সাথে লাগিয়ে যে কোন যায়গায় নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরী করে নিতে পারেন।
আরেক বৃটিশ কোম্পানী এমন পদ্ধতির কথা জানাচ্ছে যেখানে একইসাথে ৬৪টি ফোন ব্যবহার করা যাবে। ফেমটোসেল নামের এই ডিভাইস একটি দিয়ে একটি গ্রামের চাহিদা মেটাতে পারে। দুরবর্তী সংযোগের জন্য স্যাটেলাইটই যথেষ্ট।
সবকিছুর মুল একটাই। উন্নত নেটওয়ার্ক, উন্নত সিগন্যাল। কম শক্তি ব্যবহার। ব্যবহারকারী আস্তে কথা বলেও অপরদিকে স্পষ্ট শোনা যাবে। অনেকটা কথা বলার জন্য হৈচৈ থেকে বেরিয়ে নিরব স্থানে যাওয়ার মত।
No comments:
Post a Comment