কনজুমার ইলেট্রনিক্স শোতে ক্যামেরার দাম কমানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে ক্যামেরা নির্মাতারা। ১০০ ডলারের নিচেও ভাল মানের ক্যামেরা দিচ্ছে তারা। এরই মধ্যে কয়েক ডজন ক্যামেরা হাজির করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই মেলায়।
এতদিন ১০০ ডলারের মধ্যে ক্যামেরা কেনা প্রায় অসম্ভব ছিল। এখন ক্যাসিও, ক্যানন, ইষ্টম্যান কোডাক, অলিম্পাস সবাই ক্যামেরা বিক্রি করছে এই দামের মধ্যে।
১২ মেগাপিক্সেল ৪এক্স জুমের সনি সাইবারশট ডব্লিউ৫১০ ক্যামেরার দাম ১০০ ডলার। শীর্ষ ক্যামেরা নির্মাতা ক্যাননের ৩এক্স জুমের ১০ মেগাপিক্সেল পাওয়ারশট এ৮০০ এর দাম ৮৯ ডলার। কোডাকের ইজিশেয়ার মিনি এর দাম ১০০ ডলার, ইজিশেয়ার স্পোর্টস এর দাম ৮০ ডলার। একে ১০ ফুট পানির নিচেও ব্যবহার করা যাবে।
ফুজিফিল্মের ফাইনপিক্স এভি২০০ এর দাম ৯০ ডলার। এতে হাই ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ড করা যাবে।
হাই ডেফিনিশন ভিডিও বর্তমানে পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরার সাধারন বৈশিষ্ট হয়ে দাড়িয়েছে। ১০০ ডলারের এই ক্যামেরার বাইরে সব ক্যামেরাতেই এই বৈশিষ্ট রয়েছে। কোন কোন ক্যামেরায় ফুল এইচডি ভিডিওর ব্যবস্থাও রয়েছে। ক্যানন পাওয়ারশট এ২২০০ (১৪০ ডলার) ক্যামেরায় হাই ডেফিনিশন ভিডিও থাকার পরও দাম যথেষ্ট কম।
ছবি শেয়ার করার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে। স্যামসাং এর এসইচ১০০ (২০০ ডলার) ক্যামেরায় যেমন ওয়াইফাই রয়েছে তেমনি এটা থেকে সরাসরি মোবাইলফোনে ছবি পাঠানো যায়। কোডাকের ক্যামেরা থেকে ছবি বাছাই করে রাখা যায় যেখানে ক্যামেরাকে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ দিলে নিজে থেকেই ছবি ফেসবুকে আপলোড হবে। আই-ফাই কার্ড ব্যবহার করে ক্যামেরা থেকে কম্পিউটারে ছবি পাঠানোর ব্যবস্থা চালু রয়েছে অনেকদিন ধরেই।
ক্যামেরা নির্মাতারা মেগাপিক্সেলের প্রতিযোগিতায়ও চলেছেন সমান তালে। ১৪ কিংবা ১৬ মেগাপিক্সেল সাধারন বিষয়। অনেক ব্যবহারকারীই মনে করেন বেশি মেগাপিক্সেল মানে ভাল ছবি। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে। ছোট সেন্সরে বেশি মেগাপিক্সেল ব্যবহার করলে কম আলো ব্যবহৃত হয়। ফলে কম আলোর ছবিতে নয়েজ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন মেগাপিক্সেলের থেকে অন্যান্য সুবিধে, যেমন ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন, প্যানোরমা মোড ইত্যাদি ফিচারসহ ক্যামেরা, যদি কিছু দামেও হয়, সেটা কেনা ভাল।
No comments:
Post a Comment