একসময় সোস্যাল নেটওয়ার্কিং এর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল মাইস্পেস। ফেসবুকের কাছে প্রতিযোগিতায় তাদের অবস্থান বিলুপ্তির পথে। টিকে থাকতে ফেসবুকের সাহায্য নিচ্ছে তারা। মাইস্পেস ব্যবহারকারীরা এখন সেখান থেকেই ফেসবুকে একাউন্ট তৈরীর সুযোগ পাবেন। এরফলে তাদের আগ্রহের বিষয়গুলি মাইস্পেসে ব্যবহার করা যাবে।
মাইস্পেস এবং ফেসবুকের এই যোগাযোগে কোন আর্থিক বিষয় নেই। ব্যবহারকারীদের তাদের ফেসবুকের প্রোফাইলকে মাইস্পেসে আরো ভালভাবে ব্যবহারের এই ঘোষনা দেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার। এরফলে মাইস্পেস হোম পেজে ফেসবুকের লাইক বাটন ব্যবহার করা যাবে।
একসময়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দি এবং বহুল ব্যবহৃত মাইস্পেস বর্তমানে সোস্যাল নেটওয়াকিং সাইটের চেয়ে সোস্যাল এন্টারটেইনমেন্ট সাইট হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়। মিউজিক কিংবা ভিডিও ব্যবহারের জন্যই মুলত ব্যবহারকারীরা মাইস্পেস ব্যবহার করছেন। অন্যদিকে তাকে সকলের কাছে পৌছে দিতে ব্যবহার করা হবে ফেসবুক।
২০০৫ সালে রুপার্ড মারডক মাইস্পেস কিনে নেন ৫৮ কোটি ডলারে। শুরুতে ভাল ফল দেখালেও ক্রমেই এর ব্যবহার কমতে থাকে। ব্যবহারকারীরা ফেসবুকের দিকে যেতে থাকে। গত ৩ মাসের হিসেবে মাইস্পেস এর ক্ষতির পরিমান ১৫ কোটি ডলারের বেশি। সার্চ এবং বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাওয়ায় তাদের পরিচালনার খরচ উঠছে না।
No comments:
Post a Comment