পারমানবিক কেন্দ্রের প্রধান মাহমুদ জাফারীর কম্পিউটারে একধরনের জটিল ওয়ার্ম আক্রমন করেছে বলে জানানো হয়েছে। একটি দল আরো কয়েকটি কম্পিউটার থেকে এই ভাইরাস সরানোর চেষ্টা করছে। তবে এই আক্রমনে কোন ক্ষতি হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।
জার্মানীর বিশেষজ্ঞরা গত জুলাইতে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত করেন। মুলত ইরান, ইন্দোনেশিয়া, ভারত এবং আমেরিকায় এটা পাওয়া গেছে।
এই ভাইরাস শিল্পে ব্যবহৃত কম্পিউটারে আক্রমন করে নিয়ন্ত্রন নিতে পারে। গত সপ্তাহে এবিষয়ে কি করা যায় তানিয়ে আলোচনায় বসেছিল ইরানের নিউক্লিয়ার এজেন্সি।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্লেশন করে বলছেন কোন দেশের পক্ষে অথবা বিপুল পরিমান অর্থব্যয়ে কোন বেসরকারী সংস্থা এতে জড়িত। Stuxnet নামের এই কোড তৈরীর পেছনে ৫ থেকে ১০ জন অত্যন্ত উচুমানের প্রোগ্রামার বা হ্যাকার কাজ করেছেন। এখন পর্যন্ত কে কিংবা কেন এপ্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৪৫ হাজার কম্পিউটারে আক্রমন ঘটেছে এর। যে কম্পিউটার ব্যবহার করে শিল্পহাপনা নিয়ন্ত্রন করা হয় সেগুলিতেই আক্রমন করে এটা। ইরানে সবধেকে বেশি আক্রমন হলেও নিউক্লিয়ার প্লান্টে আক্রমনের উদ্দেশ্যে এটা তৈরী তা মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। এখন পর্যন্ত সরাসরি কোন ইন্ডাষ্ট্রিয়াল সিষ্টেম আক্রমনের শিকার হয়নি।
সিমেনটেকের বিশেষজ্ঞ ও মারচু বলছেন আক্রমনের ৬০ ভাগ হয়েছে ইরানে। তারমতে এতে যে পরিমান অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে সেটা করার সামর্থ্য রয়েছে অল্প কয়েকটি দেশের। যেমন চিন, রাশিয়া, ইসরায়েল, বৃটেন, জার্মানী এবং আমেরিকা।
জার্মান গবেষক রালফ ল্যাংগনারের মতে, এটা শুরু হয়ে ইরান পারমানবিক প্রকল্প শুরুর সময় থেকে। তবে সেটা তার অনুমান বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ও মারচুর মতে এটা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় আক্রমন করা হতে পারে। এরমধ্যে তেলের পাইপলাইনও রয়েছে।
জামানীর বিশেষজ্ঞরা প্রথম এই ভাইরাসের দেখা পান। তারা বিশেষ ব্যবস্থায় এটা আমেরিকার বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠান পরীক্ষার জন্য। মালয়েশিয়া এবং ডেনমার্কের সার্ভার থেকে এগুলি ছড়িয়েছে বলে জানা গেলেও ধরা পড়ার পরপরই সেগুলি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সহজভাবে এর যা পরিচিতি যা জানা গেছে তা হচ্ছে জার্মানীর সিমেন্স কোম্পানীর তৈরী সফটঅয়্যার ব্যবহার করলে এটা আক্রমন করতে পারে এবং উইন্ডোজের কয়েকটি ভার্শনের মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারন ভাইরাস থেকে ওয়ার্ম ভাইরাসের পার্থক্য হচ্ছে এগুলি সিষ্টেমের নিয়ন্ত্রন নেয় এবং সেখানকার প্রসেসরকে অন-অফ করতে পারে।
No comments:
Post a Comment