আগের গবেষনা কিছুটা উল্লেখ করা প্রয়োজন। ২০০৮ সালে স্কটল্যান্ডের স্কুল ছাত্রদের ওপর চালানো এক গবেষনায় পাওয়া যায় এধরনের গেম খেলার ৯ সপ্তাহ পর তারা অংকে ভাল করে। এমনকি তারা সময় হিসেব করে চলে। অপরদিকে ২০০৯ সালে ফ্রান্সের ছাত্রদের ওপর গবেষনা চালিয়ে পাওয়া যায় এতে ক্রিয়েটিভিটি বাড়ে। এথেকে বলা হয় গেম খেলে বুদ্ধি বাড়ে।
এধরনের গেম খেলার সময় জিন্তা করতে হয় বলে মনোসংযোগ করার ক্ষমতা বাড়ে নিশ্চয়ই। অংক নিয়ে খেলা শিশুকে নিশ্চয়ই অংক শেখায় সেইসাথে বিষয়টি অন্যদের চেয়ে ভালভাবে শিখতে সাহায্য করে। যেকারনে বিজ্ঞানীরা বলছেন একে ব্যবহার করে শিশু এবং বয়স্কদের সহায়তা করাও সম্ভব।
তারপরও, এধরনের বিষয়ে আরো গবেষনা প্রয়োজন। তবেই বলা সম্ভব অমুক গেম অমুক কাজ করবে। হয়ত একদিন ডাক্তার প্রেসক্রিপসনে বলে দেবেন নিনটেনডোর কোন গেম খেলতে। যদিও বাস্তবে এর ব্যবহার রয়েছে। ম্যাকডোনাল্ড কিংবা আইবিএম এর মত কোম্পানী তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষন দিতে ভিডিও গেম ব্যবহার করে। তারপরও সাধারনভাবে বুদ্ধি বাড়ে একথা অস্বিকার করা হয়েছে।
একথা ঠিক, বই পড়া, টিভিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্রামান্যচিত্র দেখা অথবা তার বদলে কম্পিউটার বা ভিডিও গেম খেলা, এগুলি জ্ঞান বাড়ায়। সেহিসেবে কম্পিউটার গেম বইয়ের মতই একটি মাধ্যম। আর বিপরীত দিকে এই গেম থেকেই সহিংসতা শেখার উদাহরনের অভাব নেই। এই গবেষনা একথাই হয়ত তুলে ধরছে, গেম খেলার আগে বেছে নেয়া উচিত আপনি কোনটা চান।
No comments:
Post a Comment