মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে কি ক্যান্সার হতে পারে ? এ প্রশ্ন বহুদিনের। এখন পর্যন্ত এককথায় উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে উত্তরের কাছাকাছি আসা গেছে। এবছরই দীর্ঘ এই গবেষনার ফল প্রকাশ করা হবে। এই গবেষনার নাম দ্যা ইন্টারফোন ষ্টাডি, গবেষনা চালানো হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার এর মাধ্যমে, যা ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের অংশ, খরচ হয়েছে ৩ কোটি মার্কিন ডলার, এই অর্থের যোগানদাতাদের মধ্যে অন্যদের সাথে রয়েছে মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারারস ফোরাম।
১০ বছর ধরে চালানো এই গবেষনার ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগে সব তথ্যকেই অনুমান বলে ধরে নিতে হয়। তবে যেটুকু তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তা আতংকিত হওয়ার মত। ছবিতে একজন ব্যক্তির থার্মোগ্রাফিক ইমেজ থেকে দেখা যায় স্বাভাবিক অবস্থায় এবং ১৫ মিনিট ফোন ব্যবহার করার পর মস্তিস্কে তাপমাত্রার ব্যাপক পরিবর্তন। ক্যান্সার হোক বা নাই হোক, শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
মুল রিপোর্টের আগে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে মত প্রকাশ করা হচ্ছে, ফোন সরাসরি কানের কাছে না রেখে হ্যান্ডস ফ্রি মাইক্রোফোন ব্যবহার করুন। আরো ভাল হয় ব্লুটুথ হেডসেট ব্যবহার করলে। এতে রেডিয়েশনের পরিমান ৯০ ভাগ কমে যায়। ফোনে কথা বলার চেয়ে টেক্সট ব্যবহার করে ঝুকি কমানো যায়।
গবেষনায় বলা হয়েছে রেডিয়েশনের ফলে পুরুষের শুক্রানুর পরিমান ৩০ শতাংশ হ্রাস পায়। কাজেই প্যান্টের পকেটে ফোন রাখার বিষয়ে শতর্ক হোন। ব্যবহার না করার সময় ফোন অন্তত ১ মিটার দুরত্বে রাখুন। রাতে বিছানায় বালিশের পাশে কিংবা পাশের টেবিলে রাখবেন না। এরফলে দীর্ঘ সময় ধরে রেডিয়েশন শরীরে আসতে থাকে। সবচেয়ে ভাল হয় রাতে ফোন বন্ধ রাখলে।
শিশুদের দিকে আরো বেশি লক্ষ রাখা প্রয়োজন। তাদের মস্তিস্কের আবরন পাতলা এবং মস্তিস্ক ছোট। ফলে ক্ষতির পরিমানও বেশি।
No comments:
Post a Comment