৫০ বছর আগে পেন ক্যামেরা নামে ছোট আকারের ক্যামেরা বাজারে এনেছিল অলিম্পাস। এবার একই আকারের ডিজিটাল ক্যামেরা এনেছে তারা। অত্যন্ত আকর্ষনীয় ডিজাইনের এই ক্যামেরায় নতুনত্বের অভাব নেই। সাধারনভাবে ছোট, ইচ্ছে করলেই এতে প্রয়োজনমত লেন্স লাগিয়ে নেয়া যাবে। লাগানো যাবে ভিউফাইন্ডার কিংবা ফ্লাশ। তাই বলে একে হালকা মনে করার কারন নেই। এতে ১২.৩ মেগাপিক্সেল যে ৩/৪ সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে তা দেখা যায় তাদের এসএলআর ই-৬২০ এবং ই-৩০ ক্যামেরায়। এছাড়া এই ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে ইন-বডি সেন্সর সিফট ইমেজ ষ্টাবিলাইজেশন।
অলিম্পাস ই-পি-১ ক্যামেরায় রয়েছে ৩ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে (২৩০,০০০ রেজ্যুলুশন), এক্সটারনাল ভিউফাইন্ডার লাগানো যাবে ফ্লাশ লাগানোর যায়গায়। লাইভ মোস ইমেজ সেন্সর ৮টি ফেস শনাক্ত করে অটোফোকাস করতে পারে। আইএসও ১০০ থেকে ৬৪০০। ১৯টি সিন মোড ছাড়াও ইন্টেলিজেন্ট অটো মোড রাখা হয়েছে। স্যাডো এডজাস্টমেন্ট ব্যবহার করে বিরুপ আলোতেও ভাল ছবি উঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
ষ্টিল ছবির পাশাপাশি ৩০ ফ্রেম/সে হাই-ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ড করা যাবে এই ক্যামেরায়। এক ফাইলে ২ গিগাবাইট পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ড করা যাবে।
ক্যামেরার আকার এবং ওজন সীমিত রাখার কারনে এরসাথে বিল্ট-ইন ফ্লাশ দেয়া হয়নি। ফ্লাশ ব্যবহারের জন্য হট-সু রাখা হয়েছে এবং ক্যামেরার সাথে মানানসই ফ্লাশ তৈরী করা হয়েছে। সেইসাথে এই ক্যামেরায় ব্যবহার উপযোগি দুটি লেন্স ছাড়া হয়েছে।
লেন্স সহ এই ক্যামেরার দাম ৮০০ ডলার এবং অতিরিক্ত লেন্স, ভিউ ফাইন্ডার ইত্যাদি সহ ৯০০ ডলার।
No comments:
Post a Comment