গ্রোবাল পজিশনিং সিষ্টেম, সংক্ষেপে জিপিএস সম্পর্কে কমবেশি ধারনা সকলেরই রয়েছে। এটি বিশ্বের যে কোন যায়গার কোন বস্তুর সঠিক অবস্থান জানার পদ্ধতি। কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বলতে হয়, এজন্য রয়েছে অনেকগুলি কৃত্রিম উপগ্রহ। এরা প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বের ছবি উঠাচ্ছে এবং সেগুলি সম্প্রচার করছে। জিপিএস রিসিভার থেকে শুরু করে বর্তমানের অধিকাংশ দামি মোবাইল ফোন পর্যন্ত এই তথ্য পড়তে পারে, ফলে যে কেউ ব্যবহারও করতে পারে। এই প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ম্যাপের বিকল্প হিসেবে, নির্দিষ্ট যায়গার অবস্থান জানার জন্য। এই সেবা হুমকির সম্মুখিন। কারন অর্থাভাব।
জিপিএস স্যাটেলাইটগুলি নিয়ন্ত্রন করে আমেরিকান এয়ার ফোর্স। এজন্য তাদের ৩১টি স্যাটেলাইট রয়েছে। কোন বস্তুর সঠিক অবস্থান জানার জন্য অন্তত ৪টি স্যাটেলাইটের ডাটা প্রয়োজন হয়। অনেক সময়ই ৬টি বা ৮টি স্যাটেলাইটের ডাটা ব্যবহৃত হয়। কয়েকটি স্যাটেলাইট কমে গেলে সাধারন ব্যবহারকারীদের হয়ত তেমন সমস্যা হবে না, কিংবা একেবারে বন্ধ হলেও আগের মত ম্যাপ ব্যবহার করতে পারবে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সামরিক বিভাগ। তাদেরকে এর ওপর বিপুলভাবে নির্ভর করতে হয় এবং সামান্য বিচ্যুতি বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। অর্থের অভাবে স্যাটেলাইটগুলির সংস্কার হচ্ছে না। গভর্নমেন্ট একাউন্টেবিলিটি অফিস (জিএও) থেকে বলা হচ্ছে আগামী বছর (২০১০) থেকে এগুলি অকেজো হয়ে খসে পড়তে পারে।
২০০৭ সালে সেগুলির বদলে নতুন স্যাটেলাইট পাঠানোর কথা ছিল, সেটা করা হয়নি। দিন পিছিয়ে এবছর নভেম্বরে আনা হয়েছে। কিন্তু জানা যাচ্ছে সেটাও অনিশ্চিত।এরই মধ্যে ইউএস এয়ার ফোর্সের পক্ষ থেকে জিপিএস ব্যবহারকারীদের নির্ভুলতা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে আমেরিকার জিপিএস ছাড়াও এই কাজের জন্য ইউরোপের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে গ্যালিলিও নামে। এছাড়া রাশিয়া, ভারত এবং চিনেরও নিজস্ব স্যাটেলাইট নেভিগেশন ব্যবস্থা রয়েছে।
useful
ReplyDelete