August 7, 2010

উইকিলিকসের ঘটনায় সুইডেনের প্রতিষ্ঠান জড়িত Swedish Web hosting firm confirms WikiLeaks link

ফাইল শেয়ারিং সাইট দি পাইরেট বে এর সাথে সম্পৃক্ত একটি সুইডিস কোম্পানী উইকিলিকসে মার্কিন মিলিটারী ডকুমেন্ট প্রকাশ করার সাথে জড়িত। মিকাইল ভাইবর্গ এসোসিয়েটেড প্রেসকে ষ্টকহোমের কাছে সোলনায় তাদের অফিস দেখান।  অফিসের অবস্থান নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
উইকিলিকস মার্কিন সামরিক বাহিনীর গোপনীয় ৭৬,৯০০ ডকুমেন্ট তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দেয়। এতে মুলত আফগানিস্তান সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে।
ভাইবর্গ বলেছেন সুইডেনের বাইরেও উইকিলিকসের সার্ভার রয়েছে। অনেকগুলি ব্যাকআপ রয়েছে। কোন একটি বন্ধ হলে অনগুলি থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়। তিনি বলেন সোলনা এই সার্ভারের কথা সুইডিস কর্তৃপক্ষ জানে, তারা সেটা বন্ধ করার চেষ্টা করেনি। তার বক্তব্য, আইনগতভাবে কর্তৃপক্ষের কিছু করার আছে বলে তিনি মনে করেন না।
পিআরকিউ নামের এই কোম্পানী বিতর্কিত ওয়েব সার্ভিসের জন্য পরিচিত। তাদের বক্তব্য তারা মুক্তভাবে কথা বলার স্বাথিনতায় বিশ্বাসী। চেচেন বিদ্রোহীদের ওয়েব সাইট, পাইরেট বে এর মত ফাইল শেয়ারিং সাইট রাখার জন্য তারা বিপুল পরিমানে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। উইকিলিকসকে তারা তাদের অন্যান্য ব্যবহারকারীর মতই মনে করে। তার বক্তব্য, গনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার স্বার্থে মতপ্রকাশ এবং স্বচ্ছতা থাকা উচিত।
এদিকে আমেরিকার বিরোধিতা সত্ত্বেও উইকিলিকস জানিয়েছে তারা আরো তথ্য প্রকাশ করবে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে সরকার সেখানে কি করতে পারে। মার্কিন সরকারের বক্তব্য এরফলে নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখিন হবে, মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। কারো বক্তব্য উইকিলিকসে আক্রমন চালিয়ে ফাইলগুলি নষ্ট করা উচিত। আর সবকিছুর মুলে রয়েছে গত সপ্তাহে উইকিলিকসে দেয়া ইনষ্যুরেন্স নামে ১.৪ গিগাবাইটের বিশাল এক ফাইল। তারা পাশওয়ার্ড না দেয়া পর্যন্ত এতে কি আছে জানার উপায় নেই।
পেন্টাগন তাদেরকে তথ্য প্রকাশ করতে নিষেধ করেছে। আর উইকিলিকসের প্রধান সম্পাদক জুলিয়ান এসেঞ্জি একে হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি একজন অষ্ট্রেলিয়ান, আমেরিকান নন। আমেরিকায় বাস করেন না। কাজেই আমেরিকার আইন তারক্ষেত্রে কতটুকু প্রয়োগযোগ্য তা স্পষ্ট না।
কারো মতে তাদের পাশওয়ার্ড ভেঙে কোডব্রেকাররা ভেতরের তথ্য বের করে আনতে পারে। অন্যরা বলছেন কাজটা মোটেই সহজ না। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৫৬ বিট কি কোড। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালি সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে সেকাজ করতেও বহু বছর সময় লাগবে। ন্যাশনাল একাডেমি অব সাইন্স এর সিনিয়র কম্পিউটার সাইন্স এন্ড এনক্রিপটোলজি এক্সপার্ট হারবার্ট লিন বিষয়টি উল্লেখ করছেন এভাবে, যদি একটি পাশওয়ার্ড পরীক্ষা করে ০.১ ন্যানোসেকেন্ড সময় নেয় এবং ১০০ বিলিয়ন (১ বিলিয়ন = ১০০ কোটি) কম্পিউটার একসাথে করে ব্যবহার করা হয় তাহলে ১ এর পর ৫৬টি শুন্য বসালে যে সংখ্যা হয় তত সেকেন্ড সময় লাগবে। ইন্টারনেটে রাখা পাশওয়ার্ড দেয়া ফাইল এখনো খোলা সম্ভব হয়নি সেকথা তাই বলে। নিশ্চয়ই লক্ষ লক্ষ দক্ষ হ্যাকার সেই চেষ্টা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন।
মুলত বর্তমানের ইন্টারনেট ব্যবস্থা এতটাই ব্যাপক যেখানে কোনকিছু প্রকাশকে বন্ধ রাখা সম্ভব না। এধরনের বিষয়ে দুটি বই লিখেছেন জেমস ব্যামফোর্ড। তার বক্তব্য, শেষমেস দেখা যাবে আগুনে তেল ঢালাকেই সমাধান মনে করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment